দ্বিপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা জোরদার ও ভবিষ্যৎ প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে তিনি রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া সফর শেষ করে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
সফরকালে তিনি রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার সামরিক এবং বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
গত ৬ এপ্রিল শুরু হওয়া রাশিয়া সফরের সময় সেনাপ্রধান ৭ এপ্রিল দেশটির ডেপুটি ডিফেন্স মিনিস্টার জেনারেল এ. ফোমিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক, প্রশিক্ষণ সহায়তা, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি, উচ্চশিক্ষা, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও যৌথ প্রশিক্ষণ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
পরদিন, ৮ এপ্রিল তিনি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওলেগ সালিয়ুকোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় সামরিক প্রশিক্ষণ বিনিময়, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপর আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা রোসাটম এর মহাপরিচালকের সঙ্গে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও জাতীয় গ্রিডে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা করেন।
সফরের অংশ হিসেবে তিনি রোসটেক এবং রোসোবোরোন এক্সপোর্ট এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি আদান-প্রদান আরও গতিশীল ও কার্যকর করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।
রাশিয়া সফর শেষে ১০ এপ্রিল সেনাপ্রধান ক্রোয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। সেখানে তিনি দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিহোমির কুন্দিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এই আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার, সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজন, এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।
সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ, রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। এসব আলোচনা ভবিষ্যতে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।