নারায়ণগঞ্জে রিকশাচালক তুহিন হত্যা মামলায় সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন কাদিরের আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সেদিনই জেলার দায়রা জজ মো. আবু শামীম আজাদের আদালতে সাঈদ ওরফে চাঁদ মিয়া হত্যা চেষ্টা মামলায় আইভীর জামিন আবেদনও নামঞ্জুর হয়। এর আগেও পৃথক দুটি মামলায় ডা. আইভীকে ২ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জুলাই বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান রিকশাচালক মো. তুহিন। পরে নিহতের স্ত্রী আলেয়া আক্তার মিম ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ৯৯ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। আইভীর নাম এজাহারে ১১ নম্বরে রয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আওলাদ হোসেন বলেন, “আমরা উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছি। সেটি এখনও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। তা আদালতে জানানো হলেও বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এমন ঘটনা আমার আইনজীবী জীবনে প্রথম।”
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, “একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ডা. আইভী এজাহারনামীয় হুকুমের আসামি। আদালত যথানিয়মে রিমান্ড মঞ্জুর ও জামিন নামঞ্জুর করেছেন।”
গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকার নিজ বাসা চুনকা কুটির থেকে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
আইভীর বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।