জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ ঘিরে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলায় এক পতাকা বিক্রেতা সেনা সদস্যের অনিচ্ছাকৃত লাঠিচার্জের শিকার হন। পরে ঘটনাটি নজরে এলে দুঃখ প্রকাশ করে ওই যুবককে এক লাখ টাকা উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ১০ জুন। জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা চলার সময় গেটের বাইরে টিকিটবিহীন অনেক দর্শক ভিড় করেন। দর্শনার্থীদের চাপ সামলাতে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর ছিল। পরিস্থিতি এক পর্যায়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ৪ নম্বর গেটের সামনে কিছু মানুষ একযোগে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাসদস্যদের লাঠিচার্জ করতে হয়।
এই বিশৃঙ্খলার মাঝেই ভুলবশত এক পতাকা বিক্রেতাকে লাঠিচার্জের শিকার হতে হয়, যা ছিল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত ও দুঃখজনক। ঘটনার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেই যুবককে খুঁজে বের করে তাঁর প্রতি সহানুভূতি জানানো হয় এবং একটি প্রতিকী উপহার হিসেবে এক লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়।
এই সহানুভূতিশীল উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলিস্তান আর্মি ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আফজালুর রহমান চৌধুরী। তিনি জানান, “সেনাবাহিনী সবসময় দেশের মানুষের পাশে থাকে। আমরা চাই কেউ যেন আমাদের দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।”
এদিকে পতাকা বিক্রেতার ওপর লাঠিচার্জ করা সংশ্লিষ্ট সেনাসদস্যের ব্যাপারে সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আরও জানায়, তারা দেশের সুনাম রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত, তবে প্রয়োজনে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও পিছপা হবে না।
ঘটনাটি একদিকে যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগ নতুন করে আলোচনায় এসেছে এবং কঠোরতার পাশাপাশি আন্তরিকতা ও সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ হয়েছে