“লাব্বাইকা ইয়া গাজা” ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর কণ্ঠে উচ্চারিত এই স্লোগানে কেঁপে উঠল রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গাজা ও ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে আয়োজিত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে লাখো জনতার উপস্থিতিতে তিনি জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন, যা মুহূর্তেই জনসমুদ্রকে আন্দোলিত করে তোলে।
“গাজা তুমি একা নও”—আজহারীর আবেগঘন বার্তা আজহারী বলেন, “এই মাটিতে দাঁড়িয়ে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি—ফিলিস্তিন তোমার লড়াই, আমাদের লড়াই। গাজা তুমি একা নও। মুসলিম উম্মাহ আজ জাগ্রত।”

আজহারীর মুখে মুখে যেসব স্লোগানে প্রকম্পিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, “ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন”, “ডাউন ডাউন ইসরায়েল,“উই ওয়ান্ট জাস্টিস, “স্টপ কিলিং ইন গাজা”, নারে তাকবীরআল্লাহু আকবর, “ইয়ারাব গাজাকে রক্ষা করো, আল কুদুস, আল কুদুস, ফিলিস্তন, ফিলিস্তিন, আমার ভাই শহীদ কেন জাতিসংঘ জবাব চাই, গাজায় গণহত্যা কেন জাতিসংঘ জাবাব চাই, free free plastine, free free al aqsa, 1 2 3 4 genocide no more plastine wil be free নারে তাকবীর আল্লাহু আকবর।
তার বক্তব্যের সময় লাখো মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হতে থাকে—“লাব্বাইকা ইয়া গাজা”, “ঘরে ঘরে আজহারী চাই”, “গাজার মুজাহিদ ভাই”। পুরো পরিবেশ রূপ নেয় এক আবেগঘন প্রতিবাদ সমাবেশে, যেখানে চোখে-মুখে লেখা ছিল গাজার জন্য ভালোবাসা, বেদনা আর প্রতিশোধের শপথ।
বিশ্ব মুসলিম নেতাদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে আজহারী বলেন, “ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। আর বসে থাকলে চলবে না, আজ গাজার শিশুদের কান্না যদি আমাদের না জাগায়—তবে আমরা মানুষ হিসেবে ব্যর্থ।”
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অঙ্গনের প্রতিনিধিরা সবাই এক কণ্ঠে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে শপথ নেন। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় আজহারীর এই বক্তব্য, যা নেটদুনিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।