শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ৯ম শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করছে। রং নম্বরে পরিচয়। এরপর মোবাইল ফোনেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে সেই প্রেমিকের সাথে রাত জেগে কথা বলতো স্কুল শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার (১৫)। বিষয়টি তার মা জানতে পারলে মেয়েকে কথা বলতে নিষেধ করে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে ফেলেন। এতে রাগ-অভিমান করে আত্মহত্যা করে সুমাইয়া।
রবিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। মৃত সুমাইয়া আক্তার বাড়ৈপাড়া গ্রামের মো: ইমান মোল্লা ও মোছা: ইসমতারা বেগম দম্পত্তির মেয়ে। সুমাইয়া পন্ডিতসার শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নারায়নগঞ্জের তালহা নামের এক ছেলের সাথে সুমাইয়ার রং নম্বরে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তা প্রেমের সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। প্রেমিক তালহার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিয়ে শনিবার (০৩ জানুয়ারি) রাতে সুমাইয়ার সাথে তার মা ইসমতারার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুমাইয়ার ব্যবহৃত মোবাইলটি ভেঙে ফেলেন তার মা। সকালে সুমাইয়ার মা চিকিৎসার প্রয়োজনে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। আর সুমাইয়ার ছোট ২ ভাই এবং বোন স্কুল চলে যায়। এমন সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় একা ঘরে সুমাইয়া ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রতিবেশী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা বিষয়ে নড়িয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকলে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।