শেরপুরের বিদ্যালয়ে রাতেও জাতীয় পতাকা, প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা কর্মকর্তার কৈফিয়ত তলব। বগুড়ার শেরপুরে একটি বিদ্যালয়ে রাতেও দণ্ডায়মান ছিল জাতীয় পতাকা। একটি ভিডিওতে গতকাল শেরপুরের বিদ্যালয়ে রাতেও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব করেছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব চাওয়া হয়েছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেরপুর পৌরশহরের ডি জে হাইস্কুল খেলার মাঠে পাশে লিটল স্টার কিন্ডারগার্টেন স্কুল। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১৪ সালে।
গতকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গেলে, প্রধান শিক্ষক রিক্তা সরকারকে পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক রনি ইসলাম।তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকসহ ছয়জন শিক্ষক দিয়ে এই বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়। শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১০০ জন। বিদ্যালয় খোলা থাকলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং নামানো শিক্ষকেরা করে থাকেন। গত রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এই জাতীয় পতাকা শিক্ষকরা নামিয়ে রাখেনি তা তিনি জানতেন না।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় খোলা থাকলে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে উত্তোলন এবং নির্দিষ্ট সময় নামানোর নির্দেশে রয়েছে। লিটল স্টার কিন্ডারগার্টেন স্কুল এই নির্দেশ অমান্য করায় মহান বিজয় দিবসের দিন (শনিবার ১৬ ডিসেম্বর) বিদ্যালয় সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিল। এরপর থেকে জাতীয় পতাকা না নামিয়ে গত শনিবার ও পরদিন রোববার সারারাত জাতীয় পতাকা দণ্ডায়মান ছিল। যা আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং আপিল বিধির পরিপন্থী।
এ নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, ওই বিদ্যালয় জাতীয় পতাকা নির্দিষ্ট সময় উত্তোলন এবং নামানো নিয়ে সঠিক দায়িত্ব পালন করেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এনিয়ে ভিডিও ভাইরালের মধ্যদিয়ে তাঁদের এই দৃশ্য চোখে পড়ার পরেই তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে এনিয়ে সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার জন্য আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কৈফত তলব করেছেন। এই সময়ের মধ্যে লিখিতভাবে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তী ব্যবস্থা তাঁরা গ্রহণ করবেন।