চাঁদা বন্ধের দাবিতে আবারও বগুড়ার শেরপুরে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা চালকরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এক ঘন্টাব্যাপী শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। তবে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত চাঁদা বন্ধের আশ্বাস পেয়ে ফিরে যান তারা।
রিকশা চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর থেকে সব ধরনের চাঁদা তোলা বন্ধ ছিলো। কিন্তু গত ডিসেম্বরের ১৯ তারিখ থেকে পৌরসভার টোলের নামে আবারও শুরু করা হয়েছে। ছোট রিকশা থেকে ১০ টাকা ও বড় রিকশা থেকে ২৫ টাকা করে তোলা হচ্ছে। তারা সব ধরনের চাঁদা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর তুষারসহ রিকশা চালকদের কয়েকজন প্রতিনিধি ইউএনওর সাথে কথা বলেন। তিনি আগামী বুধবার আলোচনা করার কথা জানান। সে পর্যন্ত পৌরসভার টোল আদায় বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দিলে চালকরা চলে যান।
বিক্ষুব্ধ রিকশা চালক আনিছুর রহমান বলেন, বিগত সরকারের মতো আবারও পৌরসভার টোলের নামে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে চাবি কেড়ে নেওয়া হয়।
রইচ উদ্দিন প্রামানিক বলেন, আমাদের সাথে আগের মতোই জুলুম শুরু হয়েছে। টাকা না দিলে ছবি তুলে কোন এক নেতাকে পাঠায়। পরে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এসব বন্ধ না হলে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবো।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা তানভীর তুষার বলেন, আইন অনুযায়ী স্ট্যান্ড ছাড়া সড়কে টোল আদায় করা যাবে না। কিন্তু কোনও স্ট্যান্ড না থাকা সত্বেও পৌরসভা ইজারা দিয়েছে। এখন ইজারাদার অবৈধভাবে রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা উত্তোলন করছে। আমরা এসব বন্ধের দাবি করছি।
এর আগে গত ২২ এবং ২৪ ডিসেম্বর একই দাবীতে সড়ক-মহাসড়কে বিক্ষোভ করে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকরা।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান জানান, “যাদের কল্যানে এই চাঁদা তোলা হয়, তারা না চাইলে এই আদায় কেন হবে! বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বুধবার সকাল ১১ টায় ইজারাদার, রিকশা চালক ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।