কথিত স্বর্ণের মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণা করে দুই লক্ষ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বগুড়ার শেরপুরে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি পিতলের তৈরি ৫০০ গ্রাম ওজনের দুই খণ্ড মূর্তি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে শেরপুর থানায় মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে এই তিন আসামিকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বিশালপুর ইউনিয়নের সগুনা গ্রামের মৃত নিজামের ছেলে মোঃ খোরশেদ আলম ওরফে খুশি (৫৪), মৃত নূর হোসেনের ছেলে মোঃ আবুল কালাম (৫০), মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে মোঃ ইদ্রিস আলী (৫৫)।
এ ঘটনার বাদী যশোর জেলার বাঘারপাড়ার বাসিন্দা মোঃ আছাদুজ্জামান মোল্লা অভিযোগ করেন, রমজানের আগে পাবনার ঈশ্বরদীতে ফুরফুরা দরবারের ওরশে গিয়ে পরিচয় হয় আসামি খোরশেদ আলম ওরফে খুশির সঙ্গে। ধর্মীয় পরিবেশে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে ধর্ম ভাই পরিচয়ে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন খুশি। কিছুদিন পরে ফোন করে জানান, তাঁর এক আত্মীয় পুকুর খননের সময় একটি স্বর্ণের মূর্তি পেয়েছেন, যা বিক্রি করতে চান। দাম নির্ধারিত হয় পাঁচ লক্ষ টাকা, কিন্তু প্রাথমিকভাবে বাদী দেন দুই লক্ষ টাকা।
১৫ মে দুপুরে বাদী ও তাঁর স্ত্রী আসেন শেরপুরের সগুনা গ্রামে আসামিদের বাড়িতে। কথিত স্বর্ণের মূর্তি দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা গ্রহণ করে পুতুলটি হাতে দেন। শেরপুর শহরে এসে মূর্তিটি পরীক্ষায় ধরা পড়ে এটি পিতলের তৈরি।
পরে বাদী যোগাযোগের চেষ্টা করলে আসামিরা টালবাহানা শুরু করে। তথ্য সংগ্রহে জানা যায়, তারা পূর্বেও একই কৌশলে বহু মানুষকে প্রতারণা করেছে।
সে অনুযায়ী অনুযায়ী প্রতারণা ও আমানতের অপব্যবহারের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় শেরপুর থানা পুলিশ প্রযুক্তিগত সহায়তায় দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে তিনজন আসামিকেই গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।