বগুড়ার শেরপুরে কৃষকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কৃষক ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ-এর ব্যানারে ১০ দফা দাবিতে সাত দিনের লংমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শহরের ব্যাস্ট্যান্ড এলাকার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সামনে শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন শতাধিক কৃষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে হাতে ছিলেন ব্যানার-ফেস্টুন, যেখা ছিল ফসলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ, সার ও বীজের সহজলভ্যতা, কৃষি ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ, কৃষি যন্ত্রপাতির ভর্তুকি, কৃষকদের জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৫০ ভাগ ছাড়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের জন্য উপযুক্ত নীতিমালাসহ ১০ দফা দাবি।

কর্মসূচিতে কৃষক ঐক্য পরিষদ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল হক বলেন, “আজ আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য। আমরা বারবার আমাদের দাবি জানালেও উপেক্ষিত হচ্ছি। আমাদের কণ্ঠ রোধ করার চেষ্টা হলে আমরা চুপ থাকব না। কৃষকদের প্রতি অবহেলা এখনই বন্ধ করতে হবে। দেশের তিনজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন — আমরা তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করছি।”
সংগঠনের এক শীর্ষ নেতা বলেন, আপনারা জানেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। “আমাদের দাবি খুবই স্বচ্ছ ও যৌক্তিক। এই আন্দোলন শুধু আমাদের স্বার্থের জন্য নয়, দেশের লাখো কৃষকের ভবিষ্যতের জন্য। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের অবস্থান জানাচ্ছি। কিন্তু সরকার ও প্রশাসন যদি আমাদের নয্যা দাবি মেনে না নেয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।”
নেতারা আরও বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষায় কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ জরুরি। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে চরম বিপদের মুখে পড়বে দেশ।
জানা গেছে, সাত দিনের এই লংমার্চ শুরু হয়েছে বগুড়া থেকে পঞ্চগড় এবং পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলা হয়ে এটি ঢাকা অভিমুখে এগিয়ে যাবে। শেরপুরের আজকের কর্মসূচিতে আশপাশের এলাকা থেকে কৃষকদের ব্যাপক অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে শহরের প্রধান সড়ক।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ দফা দাবি আদায়ে তারা নিয়মিত কর্মসূচি চালিয়ে যাবে এবং কৃষকের স্বার্থে কোনো ধরনের আপস করবে না।