শেরপুরে কৃষক ও ক্ষেতমজুর সংগ্রাম পরিষদের ডাকে ১০ দফা দাবিতে মিছিল, সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০১ জুন) দুপুরে শেরপুর উপজেলা চত্বর এলাকায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে কৃষিখাতে বাজেট বৃদ্ধি, কৃষি উপকরণের দাম কমানো, প্রকৃত কৃষকদের কৃষি কার্ড, ক্ষেতমজুরদের রেশনিং ও শস্য বীমা চালুর দাবি তুলে ধরা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ক্ষেতমজুর সমিতির উপজেলা সভাপতি আব্দুর ছামাদ। বক্তব্য রাখেন, কৃষক সমিতি বগুড়া জেলা সভাপতি হাসান আলী শেখ, ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি শুভসংকর রায় বাপন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সাইফুজ্জামান টুটুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিমাই ঘোষ।
বক্তারা বলেন, কৃষিনির্ভর দেশে কৃষকরা অবহেলার শিকার। সার-বীজ-সেচসহ কৃষি উপকরণের অস্বাভাবিক দাম এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের ভেজালের কারণে কৃষকরা উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। ঋণের বোঝা আর জমি হারানোর আতঙ্কে তারা দিশেহারা। করোনা মহামারির মধ্যেও কৃষক ফসল ফলিয়ে ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দিয়েছেন, অথচ প্রণোদনা প্রকৃত কৃষকদের না দিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলীয় সুবিধাভোগীদের হাতে।
বক্তারা আরও বলেন, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণে ক্ষেতমজুরদের কাজের সুযোগ কমছে, অন্যদিকে বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় তারা নিদারুণ সংকটে পড়েছেন। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ছাঁটাই ও কর্মসংস্থান সঙ্কট সাধারণ মানুষের জীবনকে আরও কঠিন করে তুলেছে। এই বাস্তবতায় বাজেটে কৃষি খাতে ৪০% উন্নয়ন বরাদ্দ ও দুর্নীতিমুক্ত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। বক্তারা প্রশাসনিক দুর্নীতি, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ীদের সুবিধা, ক্ষেতমজুরদের সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা এবং খাদ্য নিরাপত্তার সংকটের কথাও তুলে ধরেন।
সমাবেশ শেষে অর্থ উপদেষ্টার বরাবর ১০ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। সমাবেশ থেকে জানানো হয়, জনস্বার্থে এই আন্দোলন ও দাবিসমূহ অব্যাহত থাকবে