বগুড়ার শেরপুরে চাঁদা বন্ধের দাবীতে মহাসড়কে বিক্ষোভ করেছে প্রায় শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার হাজীপুর মডেল মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ধুনটমোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এসময় বিক্ষোভ থেকে শ্লোগান দেওয়া হয় “চাঁদাবাজের চামরা, তুলে নেব আমরা, চাঁদাবাজি চলবে নারে চলবেনা।
রানী নগরের অটোরিকশা চালক আশরাফুল আলম আরফান জানান, গত ১৯ তারিখ থেকে মহাসড়ক সহ শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ব্যাটারী চালিত প্রতি অটোরিকশা চালকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। আমরা এই চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্তি পেতে এই আন্দোলনে নেমেছি।
এছাড়াও অটোরিকশা চালক সোবাহান, আসলাম, শামীম, আজগর, শাকিবুল হাসান, রাকিবুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, বুলবুল আহম্মেদ সহ একাধিক অটোরিকশা চালকরা জানান, আমরা পেটের দায়ে রিকশা চালাই। রাস্তায় প্রতিদিন ৪০ টাকা চাঁদা দিয়ে মালিকের টাকা রেখে আমাদের চলা কষ্টকর হয়ে গেছে।
তারা জানান, ৫ আগষ্টের পর থেকে এই চাঁদা আদায় বন্ধ ছিল। ভেবেছিলাম চাঁদার হাত থেকে মুক্তি পেলাম। কিন্তু হঠাৎ আবার এই চাঁদা আদায় শুরু হয়েছে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাতে সকলে একত্রিত হয়েছি। এই চাঁদা আদায় বন্ধ না হলে আমরা পরবর্তীতে আবারও বৃহৎ কর্মসূচি পালন করব।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক আশিক খান জানান, আমরা পৌরসভা থেকে যে ইজারা দিয়েছি তার কার্যাদেশ এখনও দেওয়া হয়নি। জানুয়ারী থেকে এইটা কার্যকর হবে। সেখানে প্রতি অটোরিকশার জন্য ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, অটোচালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে জেনেছি। আগামী দুই দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।