বগুড়ার শেরপুরে ১৩ লাখ টাকার মাছের ফিড বোঝাই ট্রাক চুরির ঘটনায় পুলিশের তৎপর অভিযানে উদ্ধার হয়েছে চুরিকৃত ট্রাকসহ ৬৭৯ বস্তা ফিড। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বাদী মো. সাদেকুল ইসলাম সাদেক ও অভিযুক্ত মো. হাশেম আলী ওরফে বাবু যৌথ মালিকানায় “ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-৬২৬৬” নম্বরের একটি ট্রাক পরিচালনা করতেন। হাশেম আলী চালক এবং আবু বক্কার সিদ্দিক হেলপার হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৯ এপ্রিল সকালে নন্দীগ্রাম উপজেলার কাথম কোয়ালিটি ফিড মিল থেকে ১৪ টন মাছের ফিড ট্রাকে বোঝাই করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। কিন্তু একইদিন দুপুরে শেরপুরের ধুনট মোড় থেকে ট্রাকসহ ফিড নিখোঁজ হয়।
ঘটনার পর গত ১ মে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হলে তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে ৩ মে তিনজনকে এবং পরবর্তীতে মঙ্গলবার (৬ মে) ৪ জনসহ পুলিশ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে ফিড ও ট্রাক উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার খন্দকারটোলা গ্রামের মো. আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. হাশেম আলী ওরফে বাবু (৪৪), শুখানগাড়ী গ্রামের মৃত শাহজামাল মন্ডলের ছেলে মো. ফারুক (৪৫), ধড়মোকাম গ্রামের (বর্তমান বিল চাকলা) মৃত ইদ্রিস আলী খন্দকারের ছেলে মো. আবু বক্কার সিদ্দিক (৪২),
বগুড়া সদর উপজেলার ফুললবাড়ী মধ্যপাড়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন প্রামানিকের ছেলে মো. বেলাল প্রামানিক (৬১), নন্দীগ্রামের তেতুলিয়াগাড়ী (বর্তমান ধোপাকান্দি, সলঙ্গা) গ্রামের মৃত শমতুল্লাহ প্রাং-এর ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে রায়হান (৪০), সলঙ্গার ধোপাকান্দি গ্রামের মো. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. নুরুল ইসলাম (২৫), সলঙ্গার ধোপাকান্দি গ্রামের মৃত জহর হাজীর ছেলে মো. মানিক (২৬)।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আনোয়ার হোসেন জানান, “চক্রটি বেশ কিছুদিন ধরেই পরিকল্পিতভাবে পরিবহন ব্যবসার আড়ালে চুরির মতো অপরাধে জড়িত ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর চারঘাট থেকে ৫২৫ বস্তা ফিড এবং নওগাঁর আত্রাই থেকে চুরিকৃত ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, “চক্রটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।