বগুড়ার শেরপুরে প্রিয়মশন মামলায় পরাজিত হয়ে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পৌরশহরের হাজীপুর নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নানা অভিযোগ ও প্রতিকার চেয়ে গত রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় “শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব” এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন ওরফে রোজী। এ সময় স্বামী আখতারুজ্জামান পল্টুও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজিপুর এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ে ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন ওরফে রোজী বলেন, শেরপুর পৌর শহরের হাজিপুর মৌজার সাবেক ২০৩ হাল ২৫২ এর ৩ শতক জমি নিয়ে মঞ্জুয়ারা পারভীন ও তার স্বামী ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (প্রভাষক, ছোনকা রহিমা-নওশের আলী ডিগ্রী কলেজ) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।
এ নিয়ে ২০১০ সালের বিগত জুনে শেরপুর সহকারী জজ আদালতে প্রিয়েমশন মামলা করা হয়। পরে মামলটি ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালেতে স্থানান্তর করা হয়।
এরপর বিজ্ঞ আদালত শুধুমাত্র মঞ্জুয়ারা পারভীনকে শুনানী করিয়া আপীল নামঞ্জুর করিলে মূল প্রার্থক রোজিনা খাতুন মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে উল্লেখিত ইং ১২/০৯/২০২৪ তারিখের আপীল নামঞ্জুর আদেশের অসম্মতিতে ৫৮৮১/২০২৪ নং সিভিল রিভিশন মোকদ্দমা আনয়ন করিলে চলতি বছরের গত ১০ ডিসেম্বরে উক্ত সিভিল রিভিশন মোকদ্দমাটর শুনানী অনুষ্ঠিত হইয়াছে এবং একই তারিখের আদেশ মূলে প্রতিপক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন দিং এর বিরুদ্ধে রুল জারী হইয়াছে।
এরফলে মামলাটি ২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বরের আদেশ মুলে প্রতিপক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন দিংয়ের বিরুদ্ধে নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ৬ মাসের জন্য স্থিতিবস্থায় আদেশ বহাল করে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১২ ডিসেম্বর আমার স্বত্ব দখলীয় বসতবাড়ী বেদখল করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে।
এ ঘটনায় আমি আহত হয়ে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই। বর্তমানে আমি জীবন নাশের আশংকায় পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ মিথ্যা ভীত্তিহীন বানোয়ার ও ষড়যন্ত্রমূলক বর্ণনা দিয়ে আমার এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে গত ১৮ ডিসেম্বর তারিখের সংবাদ সম্মেলন করে মূল ঘটনা আড়াল করে ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে। এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে প্রকৃত ঘটনা উম্মোচনে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগীতা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ বিচার প্রত্যাশা করছি।