বগুড়া শেরপুরে সুঘাট ইউনিয়নের চককল্যাণী এলাকার কাটা খালি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আবাদি জমি ও বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার সংখ্যায় রয়েছে এই এলাকার মানুষ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এই ভাঙ্গন শুরু হয়। পানি প্রবাহের চাপ এতই বেশি যে বাধের দুই পাশের রাস্তা ভেঙে দোকানপাট পানিতে ভেসে গেছে। দ্রুত এই বাধের পুনঃনির্মাণ করার জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, আগে প্রতি বছর বড় বড় বন্যা হতো, ফলে নদীর পানি কাটাখালী খাল দিয়ে প্রবেশ করে বিলজয় সাগর, জয়লা, আওলাকান্দি, জালশুকা, কইগাতী, যুগিগতি, রুদ্রবাড়িয়া সহ আশেপাশের সকল এলাকায় বন্যা হয়ে যাওয়ার কারনে তারা জমিতে চাষাবাদ করতে পারতোনা। সেখানে পাকিস্তানি আমলে চক কল্যানী গ্রামে প্রায় ১০০ মিটার বাধ নির্মাণ করা হয়েছিল।

আরও জানা যায়, বিগত ৩০ বছর আগে সেই বাধ ভেংগে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েছিল ঐ এলাকার হাজার হাজার মানুষ। পরে এলাকার মানুষ সরকারী সহায়তায় চক কল্যানী গ্রামে একটা বাধ নির্মাণ করে। আবার ওই সকল এলাকার জমিতে প্রয়োজনীয় পানির চাইতে অতিরিক্ত পানি হলে সেটি খাল থেকে বের হওয়ার জন্য বাধের নিচে পাইপ সংযোগ দেয়া ছিল। হঠাৎই সেই পাইপের মুখ বন্ধ থাকায় চলতি মৌসুমে অতি বর্ষণের কারণে বাঁধের দক্ষিণ অংশে পানি জমে যায়।
অতিরিক্ত পানির চাপ ধরে রাখতে না পারায় গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাধটি ভেঙে যায়। এতে বাঁধের দুই অংশের রাস্তা ভেঙে দোকানপাট পানিতে ভেসে যায়। এই অবস্থা দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকলে খালের ভাটিতে থাকা আবাদি জমি ও বাড়িঘর ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দ্রুত এইবাধের পুনঃনির্মাণ করার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ভাঙন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, কাটাখালী বাধে একটি সুইচগেট নির্মাণের জন্য বেশ কিছুদিন আগে আমরা মানববন্ধন করেছিলাম। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যন্ত বিষয়টি অবগত করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো তার কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি। তাই উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেন দ্রুত আমাদের এই সমস্যা সমাধান করে স্বাভাবিক চলাচল ও নির্বিঘ্নে বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক খান বলেন, কাটাখালির ওই বাঁধ ভাঙনের খবর পেয়েছি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে যেন দ্রুত সকল কিছুর ব্যবস্থা করা হয়