বগুড়ার শেরপুরে মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি কমানোর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের শিক্ষর্থীরা। এসময় অবরোধের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত রাখে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুরে মহিলা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে শত শত শিক্ষার্থী। শ্লোগান দিচ্ছে “বন্ধ করলে দুর্নীতি, হবে কলেজের উন্নতি, আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে। এসময় দেখা গেছে বেশকিছু অভিভাবকও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ চলমান অনার্স ২য় বর্ষের ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কারও ফি ১৭ হাজার টাকা থেকে ১৯ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হয়েছে। তখন অনেকের কাছ থেকে যে টাকা কম নেওয়া হয়েছে, এখন সে টাকাও যুক্ত করা হয়েছে। তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ও কলেজের যৌক্তিক বেতন নির্ধারণ করে ফরম পূরণের টাকা নেওয়ার দাবি করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মরিয়ম আক্তার, লাবনী আক্তার, নাজমিন আক্তার সহ অনেক শিক্ষার্থী জানান, এই দাবি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু শিক্ষক তাদের সাথে খারাপ আচরন করে কলেজ থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। তাই বাধ্য হয়েই তারা দাবি আদায়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্মান দ্বিতীয় বর্ষের ফরম পূরণের জন্য এক বছরের বেতন ৬ হাজার টাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি আড়াই হাজার টাকা, উন্নয়ন ফি এক হাজার টাকা, বিদ্যুৎ ও পৌরকর ফি ২ শত টাকা ও বিবিধ ফি ৫শ টাকা মোট ১০ হাজার ২শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে যাদের পূর্বের বকেয়া ছিলো সেগুলোও আদায় করা হচ্ছে। এজন্য ফরম পূরণের ফি বেশি মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, “সুনির্দিষ্ট দাবিসহ আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সকলকে নিয়ে তাদের সাথে আলোচনা করা হবে। কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন জিহাদী বলেন “আগামীকাল কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো অযৌক্তিক ফি আরোপ করে থাকলে তা বাদ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।