বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী ওরফে সাধু (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত মো. আব্দুল লতিফকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৩ মার্চ) সকাল পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধরমোকাম এলাকার একটি ভুট্টার ক্ষেত থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত লতিফ একই ইউনিয়নের ধরমোকাম উত্তরপাড়া এলাকার মো. ওসমান গণির ছেলে এবং পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি। পুলিশ জানায়, শনিবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ তুরকান (রহ.) মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ে আকবর আলীকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতের ছেলে মো. শাহ জামাল (৩৫) অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রবিবার (২৩ মার্চ) শেরপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জিয়াউর রহমান জানান, “ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার দা, গায়ের চাদর, প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এসব আলামতের সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আব্দুল লতিফের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলে। পরদিন সকালেই অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে লতিফ স্বীকার করেন, “নিহত আকবর আলীর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি কোমরে দা গুঁজে বের হন এবং আকবর আলীকে ফোন করে ডেকে আনেন।”
ওই দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গ্রামের আরিফের চায়ের দোকানে দুজনের দেখা হয়, সেখানে তারা চা পান করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ হলে তারা মাজার সংলগ্ন চারমাথা মোড়ে যান। “সেখানেই আকবর আলীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে উপর্যুপরি কোপ দেন। আকবর আলী চিৎকার করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তিনি পালিয়ে যান।” – বলেন অভিযুক্ত লতিফ।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পরপরই আমরা তদন্ত শুরু করি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”