বগুড়ার শেরপুরে একই পিতার নামে সরকারীভাবে লীজ নেয়া সম্পত্তি থেকে কৌশলে ভাইয়ের নাম বাদ দিয়ে নিজনামে ওয়ারিশন সনদ সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শনিবার (০৪ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার ‘শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব’ চত্তরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সোহেল আহম্মেদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো: সোহেল আহম্মেদ বলেন, ভাইকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনায় জোরপূর্বক বেদখল দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে বৈমাতৃয়েও বোন সাদিয়া আফরোজ। ঘটনাটি শেরপুর পৌর শহরের বারদুয়ারীপাড়া এলাকার। এদিকে পিতা মৃত আব্দুস সাত্তারের নামে নেয়া লীজকৃত সম্পত্তি নামে অর্ন্তভূক্তকরণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন ভূমিহীন ছেলে সোহেল আহমেদ। কিন্তু বৈমাত্রেয় বোন ও তার স্বামীর বাহিনীর হুমকী-ধামকীতে জীবনের নিরাপত্তা এবং নিজ নামে সরকারী জমি লীজ প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবী জানান তিনি।
তিনি বলেন, তার পিতা আব্দুস সাত্তার শেরপুর পৌর মৌজার খতিয়ান নং ১২৮২, দাগ নং ২৩৭৮(ভিপি)তে ৮শতক জমি সরকারের কাছ লীজ নিয়ে বসতবাড়ী তৈরী করে বসবাস করে আসছিল। পিতা আব্দুস সাত্তারের প্রথম স্ত্রী লায়লা বেগমের গর্ভজাত সন্তান আমি। পরবর্তীতে বাবা আবার মাহমুদা নামের একজন মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তার নামে ওই লীজকৃত সম্পত্তির কাগজপত্র তৈরী করে দেয়।
কিন্তু বৈমাতা মাহমুদা তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পূর্বেই মারা যায় সেক্ষেত্রে বাবার প্রথম স্ত্রীর একমাত্র ওয়ারিশ হিসেবে ওই সম্পত্তির প্রকৃত উত্তরাধিকারী নিজে (সোহেল আহম্মেদ)। এদিকে পিতার নিজনামের সম্পত্তির অংশও আমাকে দেয়া হয় নাই। বর্তমানে আমি একজন ভূমিহীন মানুষ। তারপরেও আমার বৈমাত্রেয় বোন সাদিয়া আফরোজ তথ্য গোপন করে ভূয়া ওয়ারিশ সনদের মাধ্যমে ওই সম্পত্তি পুনরায় তার নামে লীজ নেয়ার চেষ্টা ও আমাকে ওই বাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য নানা হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছে। এর ফলশ্রæতিতে ওই সম্পত্তির লীজ নিজনামে প্রদানের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট পৌর ভূমি অফিস একটি প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, লীজ গ্রহীতা আব্দুস সাত্তার এর মৃত্যুরপর তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন এর নামে লীজ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে মাহমুদা খাতুন মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ কন্যা মোছাঃ সাদিয়া আফরোজ জং মোঃ আজিজুল হক (অনিক), সাং শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ এর নামে লীজ প্রদান করা হয়। তবে মোছাঃ সাদিয়া আফরোজ তার ওয়ারিশ সনদপত্রে অন্য ওয়ারিশদের নাম অন্তর্ভুক্ত না করে শুধু নিজ নাম অন্তর্ভুক্ত করেন ।
এছাড়াও লীজ গ্রহীতা মোছাঃ সাদিয়া আফরোজ, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ বিবাহ হওয়ায় তিনি উক্ত সম্পত্তিতে বসবাস করেন না। বর্তমানে একমাত্র পুত্র আদেবনকারী সোহেল আহম্মেদ পিতা মৃত আব্দুস সাত্তার সাং বারদুয়ারীপাড়া, শেরপুর, বগুড়া উক্ত সম্পত্তিতে বসবাসরত অবস্থায় ভোগ-দখলে আছেন। এমতাবস্থায় পূর্বের লীজ গ্রহীতার নাম বাতিলের সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্ট ভূমি সহকারি কর্মকর্তা। এরপরেও প্রভাব ঘাটিয়ে সাদিয়া আফরোজ বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে হুমকী-ধামকীর মাধ্যমে ওই বাড়ী থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে ন্যায্য দাবির অধিকার বাস্তবায়ন ও জীবনের নিরাপত্তা বিধানে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী।