ঈদুল আজহার আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। তবুও শেরপুর উপজেলার বারোদুয়ারী হাটে কোরবানির পশুর বেচাকেনায় নেই তেমন গতি। সোমবার (২ জুন) সকাল থেকে হাটে ক্রেতার উপস্থিতি খুবই সীমিত।
বিক্রেতারা বলছেন, তাদের আশা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খামারকান্দি ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, “১ লাখ ১০ হাজার টাকার গরুর দাম ক্রেতারা ৯৫ হাজারের বেশি দিচ্ছে না। তাই ফেরত নিতে হচ্ছে।”
অন্যদিকে, ক্রেতা আব্দুর রজ্জাক বলেন, “আগেরবার অতিরিক্ত ছাপ ও খাজনা আদায় করা হয়েছিল। এজন্য মানুষ এখন আর আসে না। গরুর সংখ্যা কম, বেচাকেনা থমকে আছে।”
শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় পাঁচটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি দুটি অস্থায়ী ছাগলের হাট বসছে। পশুর চাহিদা ৭০ হাজার ৫০০ হলেও সরবরাহ ৭৫ হাজার ১৪২টি। এতে ৪ হাজার ৬৪২টি পশু উদ্বৃত্ত থেকে যাবে।
হাটের ইজারাদার মো. শফিকুল ইসলাম শিরু বলেন, “হাটের জায়গা ছোট হয়ে যাওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতার সমস্যা হচ্ছে। আগের অতিরিক্ত ছাপের কথা শোনা গেছে। তবে এখন নির্ধারিত ৫০০ টাকা গরু ও ২০০ টাকা ছাগলের খাজনা নেওয়া হচ্ছে।”
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, “হাটে পুলিশের বিশেষ টহল টিম আছে। দালাল চক্র ও চাঁদাবাজি রোধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। কেউ হয়রানির শিকার হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক খান জানান, “প্রশাসনের তদারকি দল নিয়মিত নজরদারি করছে। চাঁদাবাজি ও অনিয়মের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”