রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল এ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩১ জনের মৃত্যু্ এবং ১৭১ জন আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা দেশ জুড়ে।
নিহতদের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষকও রয়েছেন। রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা আসার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন কার্যত থমকে গেছে।
বগুড়া-৫ আসনও এর ব্যতিক্রম নয়। সোমবার (২২ জুলাই) বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র উদ্যোগে প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
শহিদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও রফিকুল ইসলাম মিন্টুর সঞ্চালনায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক এবং বগুড়া-৫ ও ৬ আসনের বারবার নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
এছাড়াও বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য নবীন নেতা আসিফ সিরাজ রব্বানী ও ছাত্রদল,যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল সহ বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
তবে দেশের বর্তমান শোকাবহ পরিস্থিতির কারণে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয় এবং শেরপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীরাও শোকের আবহে দলীয় কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জ্ঞাপন কেরন শোকাহত পরিবারগুলোর প্রতি।
“এখন রাজনীতি নয়, মানবিকতার জায়গা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের প্রধান দায়িত্ব,” মন্তব্য করেন সাবেক সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ। তিনি আরও বলেন, “মাইলস্টোন স্কুলের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পুরো জাতিকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। শিশুদের এই নির্মম মৃত্যু কোনো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা শোকাহত পরিবারগুলোর পাশে আছি এবং তাদের কষ্ট লাঘবের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন,জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়া-৫ আসনে রাজনৈতিক তৎপরতা যখন বেড়ে গিয়েছিল ঠিক তখন এই মর্মান্তিক ঘটনা রাজনৈতিক উত্তাপকে কিছুটা স্তিমিত করেছে। অনেকেই বলছেন, জিএম সিরাজের মানবিক ভূমিকা এবং শোকপ্রকাশের আন্তরিকতাই তার রাজনৈতিক সফলতার অন্যতম কারণ।
এসময় বিএনপি’র নবীন নেতা আসিফ সিরাজ রব্বানী বলেন,”এখন সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর, বিভাজন নয়”। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কোনো মব সন্ত্রাস বা বিশৃঙ্খলার সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন যুক্ত নয়। যারা এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে,শাসক দল ও বিরোধী দল উভয়ের পক্ষ থেকে সাময়িক বিরোধ-বিহীন অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে—যা সাম্প্রতিক সময়ে বিরল