এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই শীর্ষ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীসহ আহত হন অন্তত ৮০ জন, যাদের অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের ১ নম্বর গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। সংঘর্ষের সময় সচিবালয় এলাকায় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে সন্ধ্যায় জানানো হয়, সংঘর্ষে আহত অন্তত ৮০ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অনেকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এর আগে দুপুর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়ের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। তাদের দাবি—রাত ৩টায় পরীক্ষার স্থগিতাদেশ দেওয়া অন্যায্য ও ছাত্রদের প্রতি অবজ্ঞাসূচক। তাই শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়েরের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রাত ৩টায় পরীক্ষা স্থগিত করে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হয়েছে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না।’
বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে আন্দোলনকারীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকে ভিড় করেন এবং মুহূর্তেই ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেসময় কিছু গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের থামাতে চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সন্ধ্যার পরও সচিবালয় এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন, এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন তারা।