চাঁদপুরের কচুয়ায় ধর্ষণের শিকার অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী নারী সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই বরণ করেছেন। রবিবার (০৯ মার্চ) জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা শাহরাস্তি এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কন্যা সন্তান জন্ম দেন তিনি। এরপর তিনি মারা যান।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার ৪২ বছর বয়সী এই নারী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বিয়ে হয়নি। বাবার বাড়িতে থাকতেন তিনি। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় তার ভাই একই বাড়ি আব্দুর রহিমের ছেলে মেহেদী হাসান প্রদীপকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী বলেন, আমার বোন একজন বাক প্রতিবন্ধী নারী। তাই বোনের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রদীপ তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করে। এতে আমার বোন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা আদালতে আসামির কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গতকাল সকালে সেই অন্তঃসত্ত্বা নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে অন্তঃসত্ত্বা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ার পরপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন বাক প্রতিবন্ধী ওই নারী। তবে জন্ম নেওয়া শিশুটি সুস্থ্য রয়েছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, ধর্ষণ এবং যেকোনও ধরনের নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীর সব্বোর্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।