আদালতে হাজির হয়ে পলক বলেন, জেলখানার জীবন মারাত্মক শিক্ষার। সবার অন্তত ৭ দিন জেলে থাকা উচিত। যদি কখনও কারাগার থেকে বের হতে পারি তখনও এই কথাগুলো বলব।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া এক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন নিয়ে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় আদালত প্রাঙ্গনে এই এমন মন্তব্য করেন তিনি।
শুনানি শেষে পলককে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম।
এদিন বেলা ১১টায় হেলমেট, হাতকড়া ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থা কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয় পলককে। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু কথা বলেন পলক। এর আগে অন্য কয়েদিদের সঙ্গে হেঁটে আসার সময়ও বেশ কিছু কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি দাবির করেন, প্রচণ্ড অর্থ সংকটে রয়েছেন পলক। কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হাজতের অন্য বন্দিদের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খেতে হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সাংবাদিকদ ও আইনজীবী উদ্দেশ্যে পলক বলেন, চিড়া মুড়ি খাওয়ারও টাকা নাই পকেটে। কারাগারে সাবেক এমপি ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে রুটি কলা ভাগ করে খাই। এ সময় পুলিশ তাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। উত্তরে পলক বলেন, ‘আমি কোনও বেআইনি কথা বলছি না।’
আদালতে কথা বললে বিচারক রিমান্ড বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করে পলক বলেন, কথা বললেই রিমান্ড বাড়িয়ে দেয় বিচারক।
এদিন পলক আদালকে কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকা অবস্থায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীকে সালাম দেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলক। শুরুতে পলককে এড়িয়ে যান পিপি ওমর ফারুকী। পরে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বার পলক সালাম দেওয়ার পর উত্তর দেন ওমর ফারুকী। এসময় পলক বলেন, স্যার ৩ বারের সময় সালামের জবাব দিলেন। জুনিয়র হিসেবে আমার সঙ্গে কথা বইলেন স্যার।
আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে লেখার সময় আপনারা একটু সদয় হবেন।
উল্লেখ্য, সাবেক আইসটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও একজন আইনজীবী। রাজনীতির সঙ্গে জড়ানোর পর তিনি আর আইনপেশায় সক্রিয় হননি।