সরকারি লোগো লাগানো গাড়ি থেকে ৭ লাখ পিস ইয়াবা জব্দসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারাবারি মো: আব্দুল আমিনকে (৪০) তার ৩ সহযোগীসহ আটক করেছে র্যাব-১৫।
রবিবার (১৯ মে) দিবাগত রাতে বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজারো গাড়িতে করে ইয়াবাগুলো কক্সবাজারে পাচার করার সময় উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়ন সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ সময় গাড়ির পেছনের সাইডে রাখা অবস্থায় ৭ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকারও অধিক।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ডেইল পাড়া এলাকার হাজী মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো: আব্দুল আমিন (৪০), একই এলাকার মৃত দীল মোহাম্মদের ছেলে জাফর আলম (২৬), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিল গ্রামেন মো: আবু সৈয়দের ছেলে মো: আবদুল্লাহ (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত মো: কাশেমের ছেলে মো: নুরুল আবসার (২৮)।
সোমবার (২০ মে) র্যাব-১৫ কার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো: শরিফুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটককৃত আবদুল্লাহর বাবা মো: আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল পাজারো গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের সরকারি লোগো লাগানো ছিলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতেই ইয়াবা কারাবারিরা এমন পন্থা অবলম্বন করেছিলো বলে জানায় র্যাব।
এছাড়া আত্মসমর্পণকৃত ইয়াবা কারাবারি আব্দুল আমিনের বিরুদ্ধে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১১টির অধিক মামলা রয়েছে। তার ভাগ্নে মো: আবদুল্লাহ বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। নুরুল আবসারে বিরুদ্ধে ১টি মাদক মামলা আছে। এছাড়া মো: জাফর আলমের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ২টি মামলা রয়েছে।
র্যাব আরো জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিলো মিয়ানমারের বাসিন্দা বার্মাইয়া সিরাজ। এই বার্মায়া সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে বাংলাদেশের মাদক কারাবারিরা।