বিমান বিধ্বস্তের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকার আরও দায়িত্বশীল ও মানবিক আচরণ করলে অবস্থা এতটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “ঘটনার পর থেকে আমরা সরকারের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল পদক্ষেপ আশা করেছিলাম। কিন্তু সেটি হয়নি বলেই পরিস্থিতি এমন জায়গায় গড়িয়েছে।”
তিনি জানান, রাত ৩টায় পরীক্ষার স্থগিতাদেশ, তথ্য বিভ্রান্তি এবং সঠিক সমন্বয়ের অভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছে। “ঘটনার বিষয়ে সত্য ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রকাশ না করায় গুজব ছড়িয়েছে। সরকারের উচিত ছিল তথ্য আপডেট দিয়ে মানুষের মনে স্বচ্ছতা তৈরি করা।
শিক্ষা উপদেষ্টার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “রাত তিনটা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত না হওয়াটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার উদাহরণ। এমন একটি সংকটময় মুহূর্তে উপদেষ্টাকে ফোনে না পাওয়া গেলে সেটি বড় ধরনের প্রশাসনিক ব্যর্থতা। সরকারের অভ্যন্তরে সমন্বয়ের ঘাটতি স্পষ্ট।”
মাইলস্টোন শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ৬ দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে নাহিদ বলেন, “ছাত্রদের দাবি যথাযথ ও সময়োপযোগী। আমরা এনসিপি তাদের পাশে আছি।”
বিমান দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মরদেহ গুমের অভিযোগ সম্পর্কেও বক্তব্য দেন তিনি। নাহিদ বলেন, “গত রাত থেকেই মরদেহ গুম সংক্রান্ত অভিযোগ উঠেছে। সরকারের উচিত ছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নিখোঁজ ও নিহতদের তথ্য যথাযথভাবে তুলে ধরা।”
তিনি আরও বলেন, “এমন ঘটনার পর একটি নিরপেক্ষ ও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। সেখানে সরকারি প্রতিনিধির পাশাপাশি বেসরকারি বিশেষজ্ঞ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।”