সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত শেষ করতে যদি ৫০ বছর সময় লাগলে ততদিনই অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যেসব মামলায় আসামিদের ধরা যাচ্ছে না, কিংবা পুলিশ তদন্ত শেষ করতে পারছে না, সেসব মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাদের অবশ্যই সময় দিতে হবে।
সাগর-রুনি হত্যার বিচারে কেন এতো বিলম্ব হচ্ছে- এমন একটি প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, দেখুন সাংবাদিক সাগর-রুনিকে নিয়ে কথা বলবেন, আমি বুঝলাম। কিন্তু এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে জোর করে, এই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেয়ানো কি ঠিক?
তিনি আরও বলেন, তাহলে কি আমরা এখন ৫০ বছর অপেক্ষা করবো এই মামলার রায়ের জন্য- জানতে চাইলে আইন মন্ত্রী বলেন, এই মামলাটি একটু ব্যতিক্রম। যেসব মামলায় অপরাধীকে আটক করা গেছে, সেগুলোর বিচার দ্রুত হচ্ছে। যেখানে অপরাধীকে আটক করা যাচ্ছে না, পুলিশ তদন্ত শেষ করতে পারছে না, অবশ্যই তাদেরকে সময় দিতে হবে।
এদিকে, গত ২৩ জানুয়ারি সাংবাদিক সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা আবারও বাড়িয়েছেন আদালত। এ নিয়ে প্রায় ১০৫ বারের মতো এই সময়সীমা বাড়ানো হয়। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের ধার্য দিন এদিন। কিন্তু র্যাবের পক্ষ থেকে আদালতে কোন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আগামী (২৭ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
প্রসঙ্গত: বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক দম্পতি সাগর এবং এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া বাড়ির ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়।