দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধরের অভিযোগে দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ ৭৫ জনের নামে থানায় দায়ের করা মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামায় আরও ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলেন, দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শিবলী সাদিক (৪২), তার চাচা দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (৭২), নবাবগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (৩৫), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো: জিয়াউর রহমান ওরফে মানিক (৫০), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম (৫০),
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন (৬২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ (৪৫), সানোয়ার হোসেন মন্ডল (৫৮) নিষিদ্ধ সংগঠন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান (৩৫), উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল হোসেন (২৮), উপজেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন (৩০), ভাদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল বাদশা (৩০), সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৪০), উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরী (৬০)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়। একই সময়ে মামলার বাদী নজরুল ইসলামসহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় তৎকালীন এমপি শিবলী ও তার সাদিক দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে আসামি, সায়েম সবুজ, মাসুদ রানা, সানোয়ার হোসেন মন্ডল ও সাদ্দাম হোসেনসহ আসামিরা ককটেল, হাঁসুয়া, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও দা নিয়ে ওই মিছিলে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহুবার রহমান জানান, ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন আন্দোলনকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অন্যান্য ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।