বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো: হাবিবর রহমানের ৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৯৪ লাখ ৮ হাজার ৫৯২ টাকা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াস পাল আদালতে আবেদন করে হাবিবর রহমানের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার অনুরোধ জানান।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক সংসদ সদস্যে হাবিবর রহমানের ব্যাংক হিসাবে অস্থাবর সম্পদের অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে গভীর অনুসন্ধান চলছে, এবং তদন্তের স্বার্থে তাঁর ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ করা জরুরি। আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাবিবর রহমানের সম্পদ অর্জনের উৎস খতিয়ে দেখা হবে। তাঁর আয় ও সম্পদের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, কোনো দুর্নীতির মাধ্যমে এসব অর্থ অর্জিত হয়েছে কিনা, তা বিশদভাবে তদন্ত করা হবে।
এদিকে, সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নেওয়া এ পদক্ষেপ নিয়ে রাজনৈতিক ও সাধারণ মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, যদি তদন্তে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
দুদক সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমনে বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এর আগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব তলব ও অবরুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন, যাতে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হয় এবং দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে।