রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণ শ্রমিক মুসলিম উদ্দিন মিলন হত্যার ঘটনায় জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি আমলি আদালতের বিচারক রাজু আহম্মেদ বাবুর আদালতে মামলাটি করেছেন নিহত মুসলিম উদ্দিন মিলনের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার।বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী আন্দোলনের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো: শাহজাহান, সাবেক রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) হুসাইন মোহাম্মদ রায়হান,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আবু আশরাফ সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য নাছিমা জামান ববি, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোহাম্মদ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, আওয়ামী লীগ নেতা রাশেক রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শফিয়ার রহমান সাফি, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদাত হোসেন বকুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তিকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে রংপুর নগরীর সিটি বাজার এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও হেলমেট পরিহিত পুলিশ সদস্যরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে স্বর্ণ
শ্রমিক মিলন গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে আসামিদের আদেশে মরদেহের ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে করে দাফন করা হয়।