সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন বাংলাদেশি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। সর্বশেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ২৯ মে, যেখানে গাজীপুর, মাদারীপুর ও জয়পুরহাট জেলার তিনজন হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে প্রকাশিত তথ্যে জানা গেছে, মক্কায় নয়জন ও মদিনায় ছয়জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ বছর হজযাত্রা শুরুর পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ২৯ এপ্রিল। এরপর এক মাসের মধ্যে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, রাজবাড়ীর মো. খলিলুর রহমান (৭০), কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু (৫৮) একমাত্র নারী, ঢাকার মো. শাহজাহান কবির (৬০), জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন (৭৩), নীলফামারীর বয়েজ উদ্দিন (৭২), চট্টগ্রামের অহিদুর রহমান (৭২), গাজীপুরের জয়নাল হোসেন (৬১), চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা (৬৩), রংপুরের সাহেব উদ্দিন (৬৯), চাঁদপুরের বশির উদ্দিন (৭৪), চাঁদপুরের শাহাদাত হোসেন পাঠান (৬১), জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫৩), মাদারীপুরের মোজলেম হাওলাদার (৬৩) ও গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ (৬২)।
সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী, হজ পালনের সময় কোনো হজযাত্রী মারা গেলে তাঁর মরদেহ সৌদি আরবেই দাফন করা হয়। পরিবার বা স্বজনেরা চাইলেও মরদেহ দেশে ফেরত আনার অনুমতি দেওয়া হয় না।
চলতি বছর হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন। হজযাত্রীদের প্রথম দল সৌদি আরবে পৌঁছায় ২৯ এপ্রিল। শেষ ফ্লাইট গেছে ৩১ মে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫ হাজার ২০০ জন, আর বেসরকারিভাবে গেছেন ৮১ হাজার ৯০০ জন বাংলাদেশি।
হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১০ জুন থেকে এবং শেষ হবে ১০ জুলাইয়ের মধ্যে।