স্ত্রীর পরকীয়ায় মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যা করেন এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্ত্রীর প্রেমিক মিন্টুকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে, শনিবার (২১ জুন) রাতে পৌর শহরের পশ্চিম ভরণশাহী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২২ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মিন্টু বগুড়ার ধুনট পৌরসভার পশ্চিম ভরনশাহী এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, দেড় বছর আগে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের লুৎফর রহমান খানের মেয়ে নাদিরা খান প্রেমাকে (২৫) বিয়ে করেন রাসেল আহমেদ (২৮)। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ধুনটের পশ্চিম ভরনশাহীতে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন তিনি।
সেখানে থেকে রাসেল ইন্টারনেটের ব্যবসা চালাতেন। কিন্তু ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকায় রাসেলের স্ত্রী প্রেমা জড়িয়ে পড়েন প্রতিবেশী মিন্টুর সঙ্গে পরকীয়ায়। বিষয়টি জানতে পেরে রাসেল স্ত্রীকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমা তাকে তালাক দিতে চাপ দিতে থাকেন।
গত ২৬ মে রাসেল শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে পাওনা ১০ লাখ টাকা ফেরত চান। তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সেই সময় স্ত্রী নাদিরা খান প্রেমা রাসেলকে বলেন, “হয় তালাক দে, না হয় আত্মহত্যা করে আমাকে মুক্তি দে।” এ কথায় ভেঙে পড়েন রাসেল।
পরদিন ২৭ মে সকালে ফেসবুক লাইভে এসে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট খান রাসেল। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন রাসেলের বাবা আবু রায়হান সোনার ধুনট থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ছেলের স্ত্রী নাদিরা, শাশুড়ি বিউটি খাতুন, শ্বশুর লুৎফর রহমান খান এবং পরকীয়া প্রেমিক মিন্টুসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কৃপা সিন্ধু বালা জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার আসামি হিসেবে মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।