হত্যার পর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে হাসানগরে প্রিন্ট কারখানার মালিক আলমের মরদেহ তার নিজ কারখানার মেঝেতেই পুঁতে রাখা হয়েছিল। নিখোঁজের ৫ দিন পর নিহতের মরদেহের সন্ধান মিলেছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ওই কারখানাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ঘটনাস্থলে আসলেই নিতের মরদেহ তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে নিখোঁজ হয় আলম। তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ২ দিন পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন আলমের স্ত্রী। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ আলমের সর্বশেষ অবস্থান দেখতে পান তার নিজ কারখানা এলাকায়। ২ জনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কারখানার ভেতরে মরদেহ রয়েছে আলমের মরদেহ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কারখানার শ্রমিক ছিলেন ২ জন। সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক নিয়ে মালিক আলমের সঙ্গে একজনের দ্বন্দ্ব ছিলো। বৃহস্পতিবার (নিখোঁজের দিন) রাতে কারখানা মালিক আলম দেখতে পান ২ শ্রমিকসহ মোট ৪ জন মিলে তাস খেলছেন।
কারখানার ভেতরে বসে তাস খেলার কারণ জানতে চাইলে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। একপর্যায়ে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করলে জ্ঞান হারান মালিক আলম। হত্যার পর তাকে ৩ টুকরো করে কারখানার মেঝেতেই পুঁতে রাখা হয়।