হাঁটু গেড়ে বসে নারীর জন্য সিঁড়ি বানানো সেই ‘সুপার হিরো’ কে? এমনই প্রশ্ন উঠে এসেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশের ১১টি জেলা যখন ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত। তখন বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণসামগ্রী বিতরণে কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এরইমধ্যে এক সেনা সদস্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এক নারীকে গাড়িতে উঠানোর জন্য বসে হাঁটু দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করে বেশ আলোচনায় এসেছেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা যায়, সেনা সদস্যরা বন্যদুর্গত কয়েকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ট্রাকে তুলছেন। কিন্তু কয়েকজন নারী ট্রাকে উঠতে পারছিলেন না। সেই সময় নারীদের সুবিধার্থে নিজের হাঁটু গেড়ে বসে হাঁটুকে সিঁড়ি তৈরি করে তাদের গাড়িতে উঠতে সাহায্য করেন এক সেনা সদস্য।
ওই সেনা সদস্যের নাম হলো ল্যান্স করপোরাল কাজী সুজন। তিনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকীর কাঁঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে কাজী সুজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কর্মরত আছেন।
গত ২০১২ সালে তিনি টরকীবন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আর্টিলারি কোরে যোগদান করেন। তিনি দূর্লভ রক্তের গ্রুপ ও নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও এ পর্যন্ত ২৩ বার রক্তদান করেছেন এবং সেনাবাহিনীর রক্তদাতা হিসেবে বেশ আখ্যায়িত হয়েছেন।
দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে বন্যার্ত এলাকার রেসকিউট টিমের সঙ্গে উদ্ধার কাজে যান কাজী সুজন। সেখানে ঘটে হাঁটু গেড়ে বসে সিড়ি বানানোর ঘটনা। ওই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই ফেসবুকে সেনা সদস্য কাজী সুজনকে ‘সুপার হিরো’ আখ্যা দিয়ে পোস্ট করেছেন।
ল্যান্স করপোরাল কাজী সুজন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছাত্রজীবন থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন তিনি। দেশকে সেবা করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছেন। দেশের মানুষের কল্যাণে নিজের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন এ সেনা সদস্য।