হিন্দুরা এদেশে থাকলে আ:লীগের ভোট, চলে গেলে জমি, তারা মনে করেন হিন্দু ভোটগুলো তাদের একচ্ছত্র অধিকার। কথাগুলো বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, হিন্দুদের আর কোনো উপায় নেই, একমাত্র আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়া ছাড়া। এর ফলে যেটা হয়, আওয়ামী লীগ মনে করে হিন্দুরা এদেশে থাকলে ভোট, চলে গেলে জমি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের নিয়াজ মাঠে অনুষ্ঠিত ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন তিনি।
রুমিন ফারহানা জানান, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, আমরা দেখি রংপুর, নাসিরনগর, কুমিল্লা, রামু, কলমাকান্দা, ঠাকুরগাঁও, বানারীপাড়া, যশোর ও অভয়নগরে গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে। আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে আমরা হিন্দুদের ওপর এই ধরনের নির্যাতন হতে দেখেছি। তারা মনে করে ভোট না দিয়ে হিন্দুদের উপায় নেই।
তিনি আরো জানান, আপনারা দেখেছেন যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ার পুলিশ কর্মকর্তা বেনজির কিভাবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন জায়গা-জমি দখল করেছে। এই ঘটনায় তাকে কোনো রকমের জবাবদিহিতা কিংবা বিচারে মুখোমুখি হতে হয়নি। এতে পরিষ্কার বুঝা যায়, হিন্দু জনগোষ্ঠীকে নিয়ে আ.লীগ ভোটের মাঠে খেলাধুলা করে।
শেখ হাসিনা যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো, তখন আমরা দেখলাম যে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে তারা নানা কৌশলে উসকে দিয়ে তাদের প্রভাবিত করে মাঠে নামালো। বলা হলো যে, হিন্দুদের ওপর নানা রকম নির্যাতন নিপীড়ন করা হচ্ছে। হ্যাঁ কিছু ঘটনা যে ঘটেনি তা কিন্তু নয়। তবে সেই সাথে এটাও মনে রাখতে হবে, একটি দেশে যখন সরকার পরিবর্তন হয় বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে, তখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। তবে সেটা যতটা সম্ভব কমিয়ে আনা উচিত। আইনকে তার নিজ গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। আমরা মনে করি পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ তারা নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। তাহলেই বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ নিরাপদে বাসবাস করতে পারবে। কেউ কোনো অন্যায়ের শিকার হবে না।
ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, ভারতীয় মিডিয়াগুলো একটার পর একটা মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তারা যেভাবে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন দেখাতে চাইছে, বলতে চাইছে, তার সাথে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের সেনাবাহিনী অত্যন্ত চৌকস বাহিনী। তারা নিজ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী। সুতরাং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে যদি সে রকম কোনো ঝুঁকি থেকে থাকে তাহলে বাংলাদেশের সরকার প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। যদি না হয় তখন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিশ্চয়ই নেবে অন্তর্র্বতী সরকার।