বগুড়ার ধুনটে বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে ঢাকা থেকে তার স্ত্রী রিয়া মনি ছুটে যান বগুড়ায়। সেখানে গিয়ে স্বামীর পাশে দাঁড়ান তিনি।
হাসপাতালে হিরো আলমের পাশে থেকে রিয়া মনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেন এবং একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস লেখেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে, সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে, আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।’
এর আগেই বগুড়ায় পৌঁছে গণমাধ্যমকে রিয়া মনি জানান, “এখানে এসে হিরো আলমের সার্বিক অবস্থা জেনেছি। এখন তাকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ভালো কোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করব।”
স্থানীয় সূত্র ও চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসানের বাড়িতে বেড়াতে যান হিরো আলম। রাতভর রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা হয়। পরে দুই বন্ধু আলাদা বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে জাহিদ হাসান তাকে ডাকতে গিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। তখনই হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানা গেছে, স্ত্রী রিয়া মনির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই হিরো আলমের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। এ কারণেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে হিরো আলম হাসপাতালের চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন।