৩১ দিন পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহর’ ২৩ জন নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজ ও। বাংলাদেশি সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মো: মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জনান, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা এ সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ জন নাবিককেই অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেয়েছি।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। তিনি আরও জানান, ঈদের আগেই ২৩ জন নাবিককে ফিরিয়ে আনার কথা ছিলো। কিন্তু বেশ কিছু জটিলতার কারণে সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দীর্ঘ ৩১ দিন পর সকল নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
এর আগে, ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ পাওয়ার পর শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ‘এমভি আব্দুল্লাহ‘ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদেরকে কত ডলার দেওয়া হয়েছে কিংবা তারা কত ডলার চেয়েছিল, তার কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানায়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ।
গত সোমবার (০৪ মার্চ) আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে জ্বালনি কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজটি। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিলো। এরমধ্যে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে এ জাহাজটি।
এরপর তারা ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। নিজ দেশের উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করেন। দর-কষাকষির একপর্যায়ে জলদস্যুদের সাথে সমঝোতার আলোচনা করে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছান বলে ঈদের আগেই আভাস দিয়েছিলেন ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জাহাজের মালিকপক্ষ।