নিম্নচাপের প্রভাবে ২ দিনের টানা ও ভারী বৃষ্টিতে বাজারে কমেছে কাঁচা মরিচসহ অন্যান্য সবজির সরবরাহ। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ঊর্ধ্বমুখীর দিকে। পেঁয়াজের দামেও নড়চড় নেই। বিক্রেতারা দাবি করছেন, টানা বৃষ্টির কারণে বিক্রি নেমেছে অর্ধেকে, আর সরবরাহ কমায় দামও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। এমনিতেই বাজারে সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম প্রায় ঊর্ধ্বমুখী। তারওপর গত ২ দিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাজধানীর বাজারগুলোতে পণ্যের সরবরাহ অনেকটা কমেছে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতাদের সংখ্যা কমে গেছে। এতে পণ্য বিক্রি নেমেছে প্রায় অর্ধেকে। এর পাশাপাশি বাজারে পণ্যের সরবরাহও কমেছে। ফলে আগের ক্রয় করা মালামালই এখন বিক্রি করতে হচ্ছে।
কমতির দিকে থাকা কাঁচা মরিচের ঝাল আবারো বাড়ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। মাত্র ২ দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০ টাকার মতো। টানা বৃষ্টিতে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমায় দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমের দিকে আসবে।
পেঁয়াজের দামেও কোনো পরিবর্তন নেই। আগের মতোই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা এবং আমদানি করা পাকিস্তানি পেঁয়াজ ১০০-১০৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি গোল বেগুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ৬০, ঢেঁড়শ ৫০, মুলা ৫০, করলা ৭০ থেকে ৮০, কহি ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ ও পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, টমেটো ১৬০, কচুরমুখী ৬০, পেঁপে ৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আর প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।