দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা থেকে ৪৪ টাকা দাম বাড়িয়ে ১ হাজার ৪২১ টাকা করেছে বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন)।
এর আগে, ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারে টানা ৩ মাস দাম কমার পর গেল ২ মাসে (জুলাই-আগস্ট) দাম বেড়েছিলো। এর মধ্যে জুলাইয়ে বেড়েছিলো ৩ টাকা ও আগস্টে ১১ টাকা।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ঘোষিত নতুন দাম কার্যকর হবে। সেপ্টেম্বর মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪২১ টাকা। গত মাসে দাম ছিলো ১ হাজার ৩৭৭ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার গৃহস্থালির কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।
সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজি’র নতুন দাম ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো: জালাল আহমেদ। এ সংস্থাটি প্রতি মাসের শুরুতেই এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করে।
বিইআরসির নতুন দাম অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) প্রতি কেজি ১১৮ টাকা ৪৪ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত মাসে ছিলো ১১৪ টাকা ৭৯ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজির দাম নির্ধারিত হবে।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দর ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহার করা এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৫ টাকা ২৬ পয়সা, যা এত দিন ছিলো ৬৩ টাকা ২১ পয়সা।
গত ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ করে আসছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এলপিজি তৈরি করার মূল উপাদান বিউটেন ও প্রোপেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো প্রতি মাসে এলপিজির এই ২ উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশের বাজারে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে সারা মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।