অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনে জুয়া খেলা সম্পুর্ণভাবে নিষিদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন জুয়ার বিস্তার উদ্বেগকজনক হারে বেড়েই চলেছে। এরকমই একটি বেটিং অ্যাপের প্রচারে নেমেছেন এ চিত্রনায়িকা।
একটি অনলাইন জুয়া কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন মাহিয়া মাহি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এমন সাইটের বিজ্ঞাপন ও শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নাম জড়িয়েছে অপু বিশ্বাস, জয়া আহসান ও নুসরাত ফারিয়ার। এর মধ্যে জয়া ও ফারিয়াকে শুধু বিজ্ঞাপনে পাওয়া গেলেও অপু বিশ্বাস কাজ করছেন এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।
আর তাদের বেশির ভাগই দাবি করেছিলেন যে, ভুল তথ্যে তারা এগুলোতে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মাহি সবকিছু জেনে-বুঝেই জুয়ার কোম্পানির প্রচার করছেন।
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদে নৈতিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১৮৬৭ সাল থেকে চালু প্রকাশ্য জুয়া আইন অনুসারে, কেউ যদি টাকার বিনিময়ে বাজি বা জুয়ার আসর বসায় এবং কেউ যদি তাতে অংশ নেয় তাহলে সেটি হবে দণ্ডনীয় অপরাধ। সুতরাং প্রচলিত আইন অনুসারে সব ধরনের জুয়া খেলা বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এ ধরনের নিষিদ্ধ বেটিং অ্যাপের প্রচারের কারণে মাহিয়া মাহির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাহিসহ যেসব তারকারা এগুলোর প্রচার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।