লায়লা আক্তার ফারহাদের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার (১৮ ফিব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এই আদেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই মামলার অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামি প্রিন্স মামুন আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এই মামলার অভিযোগপত্রও গ্রহণ করেন আদালত।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৯ জুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা আক্তার ফারহাদ। এরপর পুলিশ ১১ জুন তাকে গ্রেফতার আদালতে হাজির করে। ওই দিন আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরর্বর্তী সময়ে ১ জুলাই প্রিন্স মামুন জামিনে কারামুক্ত হন। মামলার তদন্ত শেষে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে এই অভিযোগপত্র জম দেন। এতে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামি প্রিন্স মামুন একজন জনপ্রিয় টিকটকার। অপরদিকে বাদী লায়লা আখতার ফারহাদ নিজেও ফেসবুকে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। তবে তার স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি সন্তানদের নিয়ে একটি ফ্ল্যাটে একাই থাকেন। পরে মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লায়লার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এরপর ২০২২ সালের প্রথম দিকে এক সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন তারা পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে মামুন লায়লাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব বাসা নেই। যেহেতু, প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। এরপর উভয়ে একত্রে লায়লার বাসায় থাকা শুরু করেন। তাদের সম্পর্ক ঘনীভূত হওয়ায় মামুন তার আইডি, এনআইডি, পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্রে লায়লার ঠিকানা ব্যবহার করেন। তাকে বিয়ে করবেন বলে বিশ্বাস স্থাপন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।