বগুড়ার শেরপুরে একই দিনে দুইটি ভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার পর আরেকটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। মৃত এক যুবকের লাশ দেখে তার প্রতিবেশীর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দিনের ব্যবধানে মোট চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে শেরপুর উপজেলার মহিপুর (জামতলা) এলাকায় ঢাকা-বগুড়া হাইওয়েতে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় একটি বগুড়াগামী যাত্রীবাহী বাস। এতে মোটরসাইকেল আরোহী শাহ আলম (৩৮) ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন ও তার কন্যা সামান্তা (৯) গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা শিশুটিকে দ্রুত বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত পিতা-কন্যার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে সকাল ১১টায় শেরপুরের পানিসারা গ্রামের আঞ্চলিক সড়কে অলক (১৯) নামে এক যুবক মোটরসাইকেল চালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিকাল সাড়ে ৩টায় এই অলকের লাশ দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তার প্রতিবেশি পিসি স্বপ্না রানী (৪২)।
স্বপ্না রানীর প্রতিবেশিরা জানান “অলককে নিজের ছেলের মতো ভালবাসতেন তিনি। তার মৃতদেহ দেখেই চিৎকার করে কেঁদে উঠেন, সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, “স্বপ্না রানীর আকস্মিক মানসিক চাপেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।”
শেরপুরের সড়কে দুর্ঘটনার বিষয়ে থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সব ঘটনাই তদন্তাধীন। মৃতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।”