ধেয়ে আসছে আম্ফানের চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। স্বস্তির বৃষ্টির পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। সেই আঁচ পাওয়া গেছে গতকালই (মঙ্গলবার)। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাড়বে তাপমাত্রা। আসবে তীব্র তাপপ্রবাহ। যা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মাসের শেষের দিকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
৪ বছর আগে, অর্থাৎ ২০২০ সালের ২০ মে মাসেই দেশের উপকূলে আঘাত হেনেছিলো ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সে সময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিলো। তবে সুন্দরবনের কারণে রক্ষা পাওয়া গিয়েছিলো সে বছর। এবার সেই আম্ফানের মাসেই ধেয়ে আসার সম্ভাবনা আছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যা আগামী সোমবার (২০ মে) এর মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির অভিমুখ কিংবা গতিপথ কোনদিকে তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালও আম্ফানের মতো বিধ্বংসী হতে পারে। তবে এটির শক্তি কতটুকু, শেষ পর্যন্ত সুপার সাইক্লোনে রূপ নেবে কি না, তা জানতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেমাল’।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে শক্তিবৃদ্ধি করবে। শুক্রবার (২৪ মে) এটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসতে পারে।