এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সমন্বয়ক সারজিস বলেন, যারা এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল চেয়েছে, তারা মেধার মূল্যায়ন করে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই পরীক্ষা নেওয়া উচিত ছিল। এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপকালে এসব কথা বলেন তিনি
গত (৩০ জুন) চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৮ জুলাই থেকে পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়।
সেই স্থগিত বাকি পরীক্ষাগুলো আগতামী (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেজন্য পরিক্ষার নতুন সূচিও প্রকাশ করেছিল কর্তৃপক্ষ; কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা এইচএসসির বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামে।
এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি ছিল, যে কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির বাকি বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হোক।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তরা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শিক্ষর্থীরা সচিবালয়ের ১৮ তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উঠে অবস্থান নেন। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এইএসসির স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে ফলাফল কীভাবে দেওয়া হবে সেই সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের সফল আন্দোলনে সরকার পতনের পর অনেকে এখন অযৌক্তিক দাবিতে রাস্তায় নেমে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি’ তৈরির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করে তিনি।