ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসেপাতালে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই নিরাপত্তাহীনতায় হাসপাতালের সব ধরণের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দেন তারা।
এতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আজ সকালে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তারা। পরে সকাল ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন। এর কিছুক্ষণ পর জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ঢাকা মেডিকে কলেজ হাসাপাতালের সামনে রোগী ও তাদের স্বজনদের ভিড় বেঁধে যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
এর আগে, গতকাল রাত ১২টার দিকে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগে নিউরো সার্জারি বিভাগের তিনজন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন তারা। অন্যথায় ২৪ ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যাবেন বলে ঘোষণা দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতার কারণে সব ধরণের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। শনিবার (৩১ আগস্ট) হাসপাতালে একদল বহিরাগতরা অস্ত্রোপচার কক্ষ থেকে চিকিৎসকদের বের করে নিয়ে এসে মারধর করে।