বগুড়ার ধুনট উপজেলায় চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় আচার পূণ্যস্নান। শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের যমুনা নদীর ঘাটে এই দিনব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারো পূণ্যার্থী নদীর পাড়ে সমবেত হতে শুরু করেন। তারা বিশ্বাস করেন, এই দিনে যমুনার জলে স্নান করলে পাপমোচন হয় এবং আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও প্রিয়জনদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা যায়।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে আগত নারায়ণ চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এবারও এসেছি পূণ্যস্নানে। পরিবারকেও সঙ্গে এনেছি। এ এক আত্মিক প্রশান্তির অনুভূতি। আমরা মায়ের কৃপা কামনা করি।’
আয়োজক কমিটির সদস্য ফনেন্দ্র মন্ডল জানান, ‘দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
স্নান উৎসবকে ঘিরে মন্দির প্রাঙ্গণে বসে নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা ও পূজা-অর্চনা। পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের তৎপরতাও ছিল লক্ষণীয়।
এই পূণ্যস্নান শুধু ধর্মীয় আচার নয়, এটি একটি সামাজিক মিলনমেলাও বটে, যেখানে আধ্যাত্মিক চেতনার পাশাপাশি জাতিগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।