ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) প্রতি কেজিতে ১ পয়সা কমিয়ে এপ্রিল মাসের জন্য নতুন দর নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪৫০ টাকা, যা গত মাসেও একই ছিল।
রোববার (০৬ এপ্রিল) বিকেলে বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাম ঘোষণা করেন। নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিইআরসি প্রতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে বাজারে নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার বিক্রি না হওয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়। গৃহস্থালি কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ১২ কেজির সিলিন্ডার।
নতুন ঘোষিত মূল্যে, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ এলপিজির কেজিপ্রতি দাম হয়েছে ১২০ টাকা ৮০ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২০ টাকা ৮১ পয়সা। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডারের দামও নির্ধারিত হয়।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ১২.৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত থেকে ৬৯০ টাকা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া যানবাহনে ব্যবহৃত এলপিজি, অর্থাৎ অটো গ্যাসের মূল্য প্রতি লিটার ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৬৬ টাকা ৪৩ পয়সা।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজির মূল কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেন আমদানি করা হয় বিভিন্ন দেশ থেকে। এই উপাদানগুলোর আন্তর্জাতিক মূল্য প্রতি মাসে ঘোষণা করে সৌদি আরবের আরামকো, যা ‘সৌদি কার্গো মূল্য’ বা সিপি (CP) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি ধরে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর চালান মূল্য গড় করে এবং ডলারের বিনিময় হার অনুযায়ী প্রতি মাসের জন্য দেশীয় এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করে বিইআরসি।