দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান অবশেষে ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার (১০ মে) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক রাতের টানা আলোচনার পর, ভারত ও পাকিস্তান এখন পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এটা আনন্দের খবর।” ট্রাম্প আরও বলেন, “নিজেদের অসাধারণ প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আমি দুই দেশকেই অভিনন্দন জানাই।”
পরে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এক বিবৃতিতে জানান, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান সবসময় এই অঞ্চলে শান্তির পক্ষে কথা বলে এসেছে। কিন্তু আমাদের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা কখনো আপস করিনি।”
এর আগে, জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসহাক দার বলেন, পাকিস্তান স্পষ্টভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে—এই মুহূর্তে উত্তেজনা কমানোর মূল দায়িত্ব ভারতের কাঁধে। তাঁর ভাষায়, “আমরা শান্তিপূর্ণ সমাধানে প্রস্তুত, কিন্তু ভারতের আগ্রাসন বন্ধ না হলে আলোচনা সম্ভব নয়।”
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ৪ বন্দুকধারী সন্ত্রীর হামলায় প্রাণ হারায় ২৬ জন। এই হামলার দায় পাকিস্তানের কাঁধে চাপিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে চালানো হয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এতে পাকিস্তানে ৪১ জন নিহত ও ৪৬ জন হয়।
জবাবে পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পরিস্থিতি তখন আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নয়াদিল্লি হামলা অব্যাহত রাখলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয়। ইসলামাবাদ জানায়, তারা ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র গুদামগুলোতে অভিযান চালিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তানের এই সামরিক উত্তেজনায় উদ্বেগ জানায় আন্তর্জাতিক মহল। তারা দু’পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত আসায় অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করছেন।