মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিম আড়তে বৃষ্টিস্নাত শরতের ভোরে রুপালি ইলিশের ঝিলিক দেখা গেল। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের তুলনায় বড় ইলিশের দাম কেজিতে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ধলেশ্বরী তীরের ওই আড়ত ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু হয়। এখানে ৪৩টি আড়ত আছে এবং দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে লাখ থেকে কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়ে যায়।
হাটে দেড় কেজি ওজনের বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। আর প্রতিকেজি ৪০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। যে বিক্রেতারা আগে বড় ইলিশ ২২০০–২৫০০ টাকায় বিক্রি করতেন, এখন তা নেমে ২০০০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ইলিশের সঙ্গে সঙ্গে হাটে উঠেছে রুই, কাতল, চিতল, মৃগেল, আইড়, বোয়াল-পাঙ্গাস এবং সামুদ্রিক হিমায়িত মাছ। বিক্রেতারা জানান, সামগ্রিক সরবরাহ বাড়ায় ছোট মাছের দামও কেজিতে ১০০–২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
ক্রেতারা বলছেন, এখানে পাইকারি দামে মাছ কেনা যাচ্ছে ও সামান্য কম দামে ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। তবে আড়তদাররা সতর্ক করে বলেন, নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ছে না, এর পেছনে অবৈধ জাল ব্যবহারের প্রভাব ও ছোট মাছ ধরা পড়ায় এর জন্য দায়ী।
মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম মৎস্য আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী হানিফ মিয়া সোহেল বলেন, “নদীতে পর্যাপ্ত মাছ নেই। সমুদ্রেও যথেষ্ট ধরা পড়ছে না। চায়না জালের কারণে ছোট মাছ ধরা পড়ায় ইলিশের উৎপাদন কমছে।”