শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই সাকিবের বিপক্ষে, বলেছেন ভোটাররা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই বলে মনে করছেন ভোটাররা। বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার নির্বাচনের মাঠে নতুন হলেও হাট-বাজার এবং বিভিন্ন চায়ের দোকানে ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
মাগুরা পৌরসভা, সদর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন এবং শ্রীপুর উপজেলা নিয়ে জাতীয় সংসদের-৯১ ও মাগুরা-১ আসন। ১৯৯৬ সালের পর থেকে বিগত সকল নির্বাচনে আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই এমপি নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সহকারী অ্যাডভোকেট মো: সাইফুজ্জামান শিখর সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ নির্বাচনে তিনি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮টি ভোট পেয়েছিলেন । তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মো: মনোয়ার হোসেন খান ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ১৬ হাজার ৬৬০টি।
সাকিব রাজনীতি ও নির্বাচনের মাঠে নতুন হলেও তার বিপরীতে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মো: সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনএফ) কেএম মো: মোতাসিম বিল্লা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাডভোকেট মো: কাজী রেজাউল হোসেন ও তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায় রনি। সাকিব আল হাসান ছাড়া অন্য সকল প্রার্থীই ভোটাদের কাছে অপরিচিত।
শহরের মোল্লা পাড়ার বাসিন্দা মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় সাকিবের বিপক্ষে শক্ত কোনো বিএনপির প্রার্থী নেই। এ আসনে বাকি যে প্রার্থীরা রয়েছেন তারা সবাই নতুন। এমনকি অনেক লোকজন তাদেরকে চেনেন না। এর ফলে নির্বাচনে সাকিবের বিজয় খানিকটা সময়ের ব্যাপার।
শহরের ভায়না এলাকার ভোটার মো: মফিজুর রহমান জানান, সাকিব আন্তর্জাতিক মানের ১ জন অল রাউন্ডার ক্রিকেটার। তিনি সকলের কাছে পরিচিত একজন মানুষ। এছাড়া বড় দল থেকে প্রার্থীও হয়েছেন তিনি। দলও তাকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। যে কারণে তার বিজয় অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।
শহরের চা দোকানি সেন্টু দত্ত জানান, এ আসনে সাকিব আল হাসান বাদে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তাদের নাম ও দলের নাম কখনো শুনিনি।
উল্লেখ্য, মাগুরা-১ আসনে মোট ভোটার ৪ লক্ষ ৪৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লক্ষ ৮৬২ জন ও নারী ভোটার ১ লক্ষ৯৯ হাজার ৬২১ জন এবং ৩য় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।