বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের তেলিপুকুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাগিনা তৌফিক ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত শাকিল খন্দকার শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাকিবুল্লাহ খন্দকার। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, তেলিপুকুর এলাকায় বালু ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় শামিম ও পলাশের সঙ্গে শাকিল খন্দকারের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে আত্মীয় সুজন শাকিলকে তেলিপুকুর গ্যাসপাম্পের পেছনের এলাকায় ডেকে নেন। সেখানে গেলে শামিম ও পলাশের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন সহযোগী প্রথমে শাকিলের ভাগিনা তৌফিককে বেধড়ক মারধর করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলের ওপর হামলা চালানো হয়।
এসময় তিনি পালানোর চেষ্টা করলে আরও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্তরা শাকিলের ছেলে জয় (২৮)-এর হাতে দেশীয় অস্ত্র ধরিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। রাতেই শাকিল নিখোঁজ হলে তার স্বজনরা থানায় অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তারা। অবশেষে শনিবার সকালে ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনায় শাকিলের তিন ছেলে জয়, আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২)-এর মধ্যে আপন ও অপূর্ব আহত হয়েছেন। নিহতের ভাগিনা তৌফিক ইসলাম (৩২) ও বাবা রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার অভিযোগ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে।
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর গণমাধ্যমে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিলয় ও রাতুলসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।