জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযোগ ওঠা সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার এবং দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৫ টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার মৃত্যুতে উপাচার্য সাদেকা হালিম, কোষাধ্যক্ষ মো: হুমায়ুন কবীর গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে তার সুইসাইড নোটে দেওয়া আইন বিভাগের সহপাঠী মো: আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার ও দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ এবং অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সহায়তাকারী শিক্ষক মো: দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও প্রক্টরিয়াল বডি থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এতে জানানো হয়, এ ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিকে খুব দ্রুত উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অভিযুক্ত সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে কুমিল্লা শহরে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এ ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সেই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন, সদস্য সচিব আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ। তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন।